ইমেইল বা তদুনুরূপ বৈদ্যতিক সংলাপ মাধ্যমের মাধ্যমে ছদ্মবেশ ধরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ইউসারনেম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বা ব্যাঙ্কের তথ্য চুরি করাকে বলা হয় ফিসিং।

ফিসিং সাধারনত একটি নামই ওয়েবসাইটের মত দেখতে অবিকল এক সাইটের ছদ্মবেশ ধরে সরাসরি গ্রাহকদেরকে প্রতারণা করে নেওয়া হয়। এটি একটি সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি যেটা গ্রাহকদের প্রতারণা করতে ব্যবহার করা হয়।

একটি ফিসিং ইমেইল কেমন দেখতে হয়? বিস্তারে...

ফিসার রা কেমন করে মহিলাদের আক্রমন করে?

স্বাভাবিক ভাবে একটি ফিসার মহিলাদের তাদের কস্মেটিক্স, ওজন কমানোর কৌশল, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয়াল মেইলের মাধ্যমে যুক্ত করে।

সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী বস্তুর উপর আকর্ষণীয় ছারঃ

আপনার দেখে মনে হবে যে আপনি সঠিক সাইটে এসেছেন কেনাকাটা করতে, কিন্তু আসলে সেগুল একাকটা অবৈধ সাইট হয়। সেখান থেকে আপনাদের নজর কারার জন্য আকর্ষণীয় ছাড় প্রদান করে আপনাদের তাদের সাইটে নিয়ে যায়।

প্রসাধনের ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ মহিলারাই লোভী হয়ে ফিসারদের পাতা জালে ধরা পরেন। কেনাকাটা করতে যাবার নামে, তারা নিজেদের ব্যাক্তিগত তথ্য সেই অপরাধিদের দিয়ে দেন।

  • মাতাপিতা বা শিক্ষা সম্পর্কিত বিনামূল্যের অ্যাপঃ

মায়েরা সবসময়েই সদ্যজাত বা বেড়ে ওঠা সন্তানের জন্য ভাবেন। সেই সুযোগ নিয়ে ফিসাররা বেশ কিছু ইমেইল পাঠায় যাতে একটি অ্যাপকে বিনামূল্যে ইন্সটল করতে বলে। সেইখান থেকে আপানার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নেওয়া হয়। এঁদের থেকে বাঁচতে, দেখে নিন ঠিক কম্পানির জিনিসই আপনি ব্যবহার করছেন কিনা।

  • কোন শিক্ষার অ্যাপ কেনার সময়ে সেই অ্যাপ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য পরে নিন।
  • সুপরিচিত শিক্ষার অ্যাপ বেঁছে নেওয়া অনেক ভালো এই ক্ষেত্রে।
  • মাতাপিতা সম্পর্কিত ফিসিং ইমেইল থেকে সতর্ক থাকুন।

হুমকি যুক্ত মেইলঃ

আপনি এমন মেইল পেতে পারেন যেখানে আপনাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে আপনার ওয়েবমেইল বন্ধ করে দেওয়া হবে। নীচে সেই মেলের একটি ইদরশন দেওয়া হোল। সাইবার অপরাধীরা এইরকম মেইল ব্যবহার করে থাকেন আপনার তথ্য জানতে। কখনো কখনো তারা আপনাকে ফোন করতেও পারেন আপনার এই সমস্যার সমাধানের জন্য।

কি করে কি হয়?

  • প্রথম পদক্ষেপঃ

যেই ইউ আর এল টাতে আপনি ক্লিক করবেন, সেটাকে দেখেনিন। কোন ওয়েবসাইট, যা নম্বর দিয়ে শুরু হয়, টাতে আপনার কোন তথ্য দেবেন না।

  • দ্বিতীয় পদক্ষেপঃ

সবসময়ে চেষ্টা করুন ইউ আর এল টাকে নিজে হাতে লিখতে। সেটাতে যদি কোন বাবান ভুল রেখে দেওয়া হয়, তবে তা আপনার নজরে এসে যাবে সেক্ষেত্রে।

  • তৃতীয় পদক্ষেপঃ

সবসময়ে সুরক্ষিত ক্ষেত্র থেকেই আপনার অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করুন। যেই সাইটে https নেই, বা প্যাডলক নেই, সেই সাইট ব্যবহার করবেন না।

  • চতুর্থ পদক্ষেপঃ

যখনই কোন এইমাইল পাবেন, যেখানে আপনাকে আপনার ফিনান্সিয়াল দিতে অনুরধ করা হয়েছে, সেটাকে সন্দেহের চোখে দেখাই শ্রেয়। সেই মেইল সাধারনত যার নাম করে আসছে, সে পাঠায় না। তাই আপনি সঠিক ব্যকাতিকে ফোন করে নিতে পারেন।

  • পঞ্চম পদক্ষেপঃ

সেই সমস্ত ইমেইল, যারা আপনার ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড বা ব্যাঙ্কিং তথ্য জানতে চাইছে, তাতে উত্তর দেবেন না।

Page Rating (Votes : 5)
Your rating: