প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ব্যাক্তিকে বারংবার বিরক্ত করাকে সাইবার স্টকিং বলে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেমন ইমেইল এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক কিছু জিনিস অন্তর্গত, যেমন আতঙ্ক, বদনাম রটানো, আপনার পরিচয় চুরি করা, মিথ্যা অভিযোগ, যৌন আকর্ষণ ইত্যাদি। একজন স্টকার আপনার পরিচিত কেউ হতে পারে বা এমন কেউ হতে পারে, যিনি সম্পূর্ণ অপরিচিতও হতে পারে।

কেমন করে একটি মহিলা কে সাইবারস্টকার ক্ষতি করতে পারে?

  • তারা আপনার অনলাইনে থাকা পরিচয়কে ক্ষতি করতে পারে আর এমনকি আপনার বন্ধুবান্ধবের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করাকেও মাধ্যম করতে পারে দুষ্কৃতীরা।
  • আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে ঢুকে আপনার সমস্ত তথ্য চুরি করতে পারে এমন কি আপনার পাসওয়ার্ড পর্যন্ত চুরি করতে পারে।
  • আপনার অবস্থান সব সময়ে লক্ষ্য রাখতে পারে জিপিএস বা ইত্যাদি বস্তুর সাহায্যে।
  • তারা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে কমেন্টে অসভ্য কথাও লিখতে পারে।
  • আপনার বন্ধু বান্ধব বা আত্মিয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে আপনার সম্বন্ধে বিভিন্ন অপ্রিতিকর তথ্য আদায় করতে পারেন।
  • আপনাকে আপনার ব্যাক্তিগত ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে ব্ল্যাকমেল করতে পারে, যা আপনাকে উত্তেজিত করতেও সক্ষম।

ইদানিং কালে সাইবারস্টকিং মহিলাদের সুরক্ষার জন্য খুব বড় প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দারিয়েছে এবং তা শারীরিক ভাবেও মহিলাদের আক্রমণের কারন হচ্ছে। তাই সাইবারস্টকিং হলে তা অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের কাছে জানান। যত বেশীদিন ব্যাপি এই ঘটনা চলবে, আপনার বিপদ ততই বারবে।

সাইবারস্টকিং যদি শারীরিক আক্রমণ নাও হয়, তবুও সেটাকে কম গুরুত্ব দেবেন না। একজন অভিজ্ঞ ইন্টারনেট ব্যবহারকারির কাছে আপনার ফোন নম্বর ইত্যাদি বার করে নিতে খুব বেশী সময় লাগবে না।

কি করে বুঝবেন যে আপনি সাইবারস্টকিঙ্গের শিকার হয়েছেন?

যদি আপনি নিচের কোন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন –

  • কেউ আপনার প্রোফাইল দিনে বা সপ্তাহে প্রচুর বার দেখছেন।
  • কেউ আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে সমানে অসভ্য শব্দে কমেন্ট করতে থাকলে।
  • যদি কী আপনার থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন স্পর্শকাতর তথ্য চাইলে
  • কেউ যদি আপনার থেকে ছবি বা ভিডিও চেয়ে থাকে।

যদি আপনি এমন কোন ঘটনা আপনার সাথে হতে দেখেন, তবে যথা শীঘ্র এর প্রতিরোধের চেষ্টা করুন।

সাইবারস্টকিং আটকানো খুব কঠিন হয়ে যায়, বিশেষ করে তখন যখন অপরাধি আপনার থেকে বহুদূরে অবস্থান করছে। আপনার কাজ হলো অনলাইন সকল মাধ্যম থেকে কোন নিয়ম না ভেঙ্গে সেই ব্যাক্তির অবস্থান জানুন আর সেখান থেকে তাকে আটক করার সমস্ত তথ্য যোগার করুন।

কি করে নিজেকে সাইবারস্টকিং থেকে বাঁচাবেন?

  • যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন, আপনার বন্ধু ও আত্মিয়স্বজনকে বাদ রেকেহে সকলের জন্য প্রাইভেসি সেটিং ব্যবহার করুন।
  • কারুকে বন্ধু করার আগে তার সত্যতা পরখ করে নিন।
  • যখন আপনি ব্যবহার করছেন না, তখন আপনার জিপিএস পরিশেবা বন্ধ রাখুন।
  • যদি আপনার থেকে আপনার কোন অনলাইন বন্ধু আপনার কোন ছবি বা ভিডিও চায়, তবে তার থেকে তা গোপন রাখুন।
  • আপনার ছবিতে বা ভিডিওতে কেউ অবাঞ্ছিত মন্তব্য করছে, তাহলে তাকে যথাশীঘ্র ব্লক করে দিন।
  • যদি কোন সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু অসভ্যতামি করে, তবে তাদের অবিলম্বে ব্লক করুন। যদি তারপরেও অন্য দিক থেকে আপনাকে বিরক্ত করে, তবে পুলিশে খবর দিন।

সাইবারস্টকিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে আপনি কি কি থেকে দূরে থাকবেন?

  • কখনো কোন অনলাইন বন্ধুর উপর বিশ্বাস করবেন না।
  • আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য/ ছবি/ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন না।
  • পোস্ট করার সময়ে আপনার অবস্থান শেয়ার করবেন না।
  • আপনার অনলাইন বন্ধুর অস্বাভাবিক আচরন কে উপেক্ষা করবেন না।
  • যদি আপনার কখনো মনে হয় যে আপনি সাইবারস্টকিঙ্গের শিকার হচ্ছেন, তাহলে কমপ্লেন করতে বিলম্ব করবেন না।

Source:

Page Rating (Votes : 4)
Your rating: