পরিচয়
একদিকে যেমন ভারতের অধিকাংশ মানুষ সোশাল মিডিয়াতে মনোনিবেশ করেছে, অন্যদিকে মহিলাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যাবহারও বিশেষ ভাবে বেড়েছে। মহিলাদের মধ্যে অনলাইন শপিং, অনলাইন লেনদেন, সোশাল মিডিয়া, ভ্রমন সহায়তা, মেসেজিং, ইমেইল, রান্নার ভিডিও, চাকরির অনুসন্ধান, যোগ ব্যায়ামের ভিডিও, সদ্য মা হওয়া মহিলাদের মধ্যে পিতামাতার ভুমিকা কেন্দ্রিক তথ্য, নতুন ব্যবসা শুরু করার সহায়ক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার প্রবণতা ইদানিং কালে খুবই প্রবল। সাধারণত অবসর সময়েই মহিলারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
মহিলাদের স্বভাব খুব ভাল।তারা যত্নশীল, সরল, সমর্পিত এবং সৎ এবং তারা যা চোখে দেখে তাই বিশ্বাস করে নেয় যা সবসময় ঠিক নাও হতে পারে।আর সেই সুযোগের সদব্যবহার করে সাইবার ক্রিমিনালরা মহিলাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম বাড়িয়ে চলেছে।
একদিকে যেমন ইন্টারনেট ডিজিটাল জগতে আমাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়, অন্যদিকে অজস্র বিপরীত মুখী প্রতিক্রিয়াও বর্তমান তার। বিশেষ করে যাদের ইন্টারনেটকে নিজের স্বার্থে অপব্যবহার করার ইচ্ছা থাকে, তাদের জন্যও ইন্টারনেটে অনেক সুযোগ রয়েছে। সেগুলি প্রকাশ পায় ম্যালওয়্যার, ফিশিং, ফারমিং, তথ্য চুরি, স্পুফিং, অনলাইন স্ক্যাম, ভাইরাস, ট্রোজান, রানসমওয়্যার ইত্যাদি আকারে। এই সব কিছু আমাদের একটি বড় প্রশ্নের সম্মুখীন করে দেয়, মহিলারা এই সাইবার জগতে কতটা নিরাপদ। এই ডিজিটাল জগতে, মহিলাদের প্রতিদিন উত্তক্ত, বিরক্ত, বিপন্ন ও হেনস্তা হতে হচ্ছে। কিন্তু সেইজন্যে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। সামান্য কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করেই তারা নিজেদের সাইবার জগতে সুরক্ষিত করতে পারে।
ভারত সরকারের ইনফর্মেশন সিকিউরিটি এডুকেশন অ্যাওয়ারনেস (ISEA) দ্বিতীয় পর্বে সাধারন মানুষের ইন্টারনেটের প্রতি সচেতনতা গঠন ও বৃদ্ধির সাথে সাথে মহিলাদের উপযুক্ত সাইবার সুরক্ষা ও সচেতনতার কথা মাথায় রেখে তাদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশিকা প্রস্তুত করেছে।
www.infosecawareness.in থেকে সেই নির্দেশিকা সমূহ অনুসরন করে, সহজেই মহিলারা নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারবেন এবং তার সাথে অন্য মহিলা বন্ধুদেরও সেই সতর্কতা অবলম্বনে সাহায্য করবেন। সাইবার সতর্ক হন এবং ভারতকে সাইবার সতর্ক দেশ হিসেবে গড়ে তুলুন। ‘নিজেকে সুরক্ষিত করুন এবং দেশকে সুরক্ষা প্রদান করুন’